মিরপুর চিড়িয়াখানা সাপ্তাহিক বন্ধ কবে

ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা, বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। শিশু থেকে প্রবীণ, সকল শ্রেণির মানুষ এটি দর্শনে আগ্রহী। তবে ছুটির দিনে চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকে—এই তথ্য অনেকেরই জানা না থাকার কারণে ভ্রমণ পরিকল্পনায় ভোগান্তি হয়। এই ব্লগে আমরা বিস্তারিত তুলে ধরবো—চিড়িয়াখানাটি প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে, এবং যদি রবিবার কোনো সরকারি ছুটি হয়, তাহলে চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে ঋতুভিত্তিক সময়সূচী, টিকিট মূল্য, ভ্রমণ পরিকল্পনার টিপস ইত্যাদি। ১. সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মিরপুর চিড়িয়াখানা প্রতি রবিবার নিয়মিত বন্ধ থাকে। তবে বিশেষ – যদি রবিবার কোনো সরকারি ছুটির দিন হয় (যেমন: ঈদ, জাতীয় দিবস), তাহলে চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ঈদুল

Read more

মিরপুর চিড়িয়াখানা – বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা, যা মিরপুর চিড়িয়াখানা নামেও পরিচিত, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন ও শিক্ষা কেন্দ্র। প্রায় ৭৫ হেক্টর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই চিড়িয়াখানা শুধু বিনোদনের স্থান নয়, বরং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, গবেষণা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। অবস্থান ও যাতায়াত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুর ১ নম্বর এলাকায় অবস্থিত। ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে বাস, রিকশা, সিএনজি বা ব্যক্তিগত গাড়িতে সহজেই পৌঁছানো যায়। ঠিকানা: মিরপুর-১, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশপ্রতিবেশী গুরুত্বপূর্ণ স্থান: বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক (গাজীপুরে), শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, জাতীয় উদ্যান (বোটানিক্যাল গার্ডেন) – যা চিড়িয়াখানার ঠিক পাশেই অবস্থিত। ইতিহাস বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৪

Read more

পুরান ঢাকার বাকরখানি – ইতিহাস, স্বাদ ও প্রস্তুত প্রণালী

বাকরখানি: ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি রুটি বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতির ইতিহাসে কিছু খাবারের স্থান একেবারেই অনন্য। ঢাকার পুরান শহরের গলি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা চায়ের দোকান ও বেকারিতে এক বিশেষ নাম বারবার শোনা যায়—বাকরখানি। এটি শুধু একটি খাবার নয়, বরং একটি ইতিহাস, একধরনের ঐতিহ্য এবং ঢাকার পুরনো দিনের স্মৃতির বাহক। বাকরখানির পরিচিতি বাকরখানি মূলত এক ধরনের শক্ত, মিষ্টি, সুগন্ধি রুটি। বাইরে খাস্তা আর ভেতরে খানিকটা নরম, মিষ্টি স্বাদের এই রুটি সাধারণত চা বা দুধ চায়ের সাথে খাওয়া হয়। বিশেষত সকালে নাস্তা বা বিকেলের আড্ডায় এর জনপ্রিয়তা অপরিসীম। পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের কাছে এটি যেন দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে।

Read more

কলাতলী সমুদ্র সৈকত: কক্সবাজারের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের গোপন খনি

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম অনন্য উপহার কক্সবাজার। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে খ্যাত এই শহরের রয়েছে নানা সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য। তবে কক্সবাজার বলতে আমরা সাধারণত কেবল মূল সৈকতের কথাই ভাবি। অথচ এই শহরের বুকে আরও কিছু অনাবিষ্কৃত রত্ন লুকিয়ে আছে, যার একটি হলো কলাতলী সমুদ্র সৈকত বা কলাতলি বীচ। কলাতলী সৈকত কোথায় অবস্থিত? কলাতলী সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত, মূল সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্ট থেকে খুব কাছেই। কক্সবাজারের কলাতলী রোড ধরে একটু সামনে এগোলেই আপনি পৌঁছে যাবেন এই তুলনামূলক কম ভিড়ের, শান্ত ও মনোরম সৈকতে। এখানকার আশপাশে রয়েছে অসংখ্য হোটেল, রিসোর্ট, খাবার দোকান ও বিচ অ্যাক্টিভিটি স্পট। কেন

Read more

কক্সবাজার: সমুদ্র, সৌন্দর্য ও সম্ভাবনার জেলা

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত কক্সবাজার জেলা শুধু দেশের নয়, বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্রসৈকতের জন্য বিখ্যাত। প্রায় ১২০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই সমুদ্রসৈকত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এক অনন্য গন্তব্য। তবে কক্সবাজারের পরিচয় শুধু সৈকতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—এটি সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার এক বিস্তৃত ভাণ্ডার। ঐতিহাসিকভাবে, এই অঞ্চলের নামকরণ হয়েছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের নামানুসারে, যিনি ব্রিটিশ শাসনামলে আরাকান শরণার্থীদের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। আজকের কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের হৃদয়স্থল, যেখানে সমুদ্রসৈকত, দ্বীপ, পাহাড়, জলপ্রপাত এবং আদিবাসী সংস্কৃতির মিলনে গড়ে উঠেছে এক মনোমুগ্ধকর ভূ-প্রকৃতি। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কক্সবাজার শুধু পর্যটনের জন্য নয়, বরং বাণিজ্য, মৎস্যশিল্প, লবণ উৎপাদন, এবং

Read more

কলাতলী বীচ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট: কক্সবাজার ভ্রমণে আরাম ও রোমাঞ্চের এক ঠিকানা

কলাতলী বীচের কাছে হোটেল ও রিসোর্ট: কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য সেরা থাকার জায়গা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন শহর কক্সবাজার, আর কক্সবাজারের সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও ভ্রমণবান্ধব এলাকা হলো কলাতলী বীচ। যারা কক্সবাজারে ঘুরতে যান, বেশিরভাগই কলাতলী এলাকায় অবস্থান করে কারণ এখান থেকে সৈকত, খাবারের দোকান, ট্রান্সপোর্ট, শপিং—সবকিছুই সহজলভ্য। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে: কলাতলী বীচের কাছে ভালো হোটেল ও রিসোর্ট কোনগুলো? এই ব্লগে আমরা জানবো কলাতলী এলাকার বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট, তাদের বৈশিষ্ট্য, সেবা, মূল্য, লোকেশন এবং কাদের জন্য কোনটা উপযুক্ত। কেন কলাতলী বীচের কাছাকাছি থাকা উচিত? সৈকতের খুব কাছাকাছি কলাতলী বীচ কক্সবাজারের মূল সমুদ্র সৈকতের একটি অংশ হলেও এটি তুলনামূলকভাবে কম ভিড় ও

Read more

সুগন্ধা বীচ: কক্সবাজার ভ্রমণের প্রাণকেন্দ্র

কক্সবাজারের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাবেলার এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। এই সৌন্দর্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হলো সুগন্ধা বীচ। কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই সৈকত পর্যটকদের কাছে এক অনন্য অভিজ্ঞতার জায়গা, যেখানে একই সাথে উপভোগ করা যায় সমুদ্রের ঢেউ, বালুকাবেলা, সি-ফুড এবং স্থানীয় হস্তশিল্প। সুগন্ধা বীচের অবস্থান ও যাতায়াত ব্যবস্থা সুগন্ধা বীচ কক্সবাজার শহরের মূল সমুদ্র সৈকতের একটি জনপ্রিয় অংশ। লাবণী পয়েন্ট থেকে দক্ষিণে এবং কলাতলী বীচ থেকে উত্তরে এর অবস্থান। কক্সবাজার বাস টার্মিনাল বা বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১০–১৫ মিনিটের মধ্যে সিএনজি, অটোরিকশা বা ব্যক্তিগত গাড়িতে সহজেই পৌঁছানো যায়। সুগন্ধা বীচের বিশেষত্ব করণীয় ও বিনোদন ব্যবস্থা ১. সমুদ্র স্নান

Read more

কক্সবাজার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সাধারণ জ্ঞান – ২০ টি

কক্সবাজার: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত কক্সবাজার এক অনন্য সমুদ্র শহর, যা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ প্রাকৃতিক সমুদ্রসৈকত (প্রায় ১২০ কিলোমিটার) নিয়ে গর্ব করে। মনোমুগ্ধকর সোনালি বালি, ঢেউয়ের কল্লোল, পাহাড় ও বনভূমির মেলবন্ধন কক্সবাজারকে পর্যটকদের স্বপ্নের গন্তব্যে পরিণত করেছে। কক্সবাজারের ইতিহাস কক্সবাজারের নামকরণ হয়েছে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স-এর নামে। তিনি ১৭৯৯ সালে এই অঞ্চলে দায়িত্ব পালনকালে শরণার্থীদের পুনর্বাসন ও এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখেন।এর আগে এ অঞ্চলকে পালংকি নামে ডাকা হতো। আরাকান (বর্তমান মায়ানমারের রাখাইন) ও ত্রিপুরার রাজাদের শাসনকাল, পরে মুঘল ও ব্রিটিশ শাসনের অধীনে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ভূগোল

Read more

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত: বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাবেলার অদ্ভুত সৌন্দর্য

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বিস্তৃত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত (Cox’s Bazar Sea Beach) শুধু দেশের গর্বই নয়, বরং বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত। প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকত টানা বিস্তৃত, যেখানে পাহাড়, সমুদ্র ও আকাশের মেলবন্ধন সৃষ্টি করে অনন্য দৃশ্যপট। এই সৈকতের সৌন্দর্য, ইতিহাস, ভ্রমণ সুবিধা এবং কাছাকাছি আকর্ষণীয় স্থানগুলো নিয়ে আজকের এই বিস্তৃত ব্লগ। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ইতিহাস ও নামকরণ কক্সবাজারের নামকরণ হয়েছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের নামানুসারে। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কর্মকর্তা, যিনি ১৮ শতকে এখানে একটি বাণিজ্যিক বাজার স্থাপন করেন। সময়ের সাথে এই অঞ্চল পর্যটনের জন্য খ্যাতি লাভ করে এবং বর্তমানে এটি বাংলাদেশের

Read more

লাবণী পয়েন্ট সমুদ্র সৈকত: কক্সবাজার ভ্রমণের কেন্দ্রবিন্দু

কক্সবাজার ভ্রমণে গেলে সবচেয়ে বেশি মানুষের পদচারণা যেই জায়গায়, সেটি হলো লাবণী পয়েন্ট সমুদ্র সৈকত। বিস্তৃত বালুকাবেলা, গর্জনরত ঢেউ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আর আশেপাশের বৈচিত্র্যময় বাজার ও খাবারের দোকান—সব মিলিয়ে লাবণী পয়েন্ট কক্সবাজারের প্রাণকেন্দ্র। এটি মূলত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রধান প্রবেশদ্বার, যেখানে দিন-রাত সমানভাবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। আপনি যদি প্রথমবার কক্সবাজারে যান, তাহলে লাবণী পয়েন্ট আপনার ভ্রমণ শুরু করার জন্য সেরা জায়গা। লাবণী পয়েন্টের অবস্থান ও যাতায়াত ব্যবস্থা লাবণী পয়েন্ট কক্সবাজার শহরের একেবারে কেন্দ্রের কাছেই অবস্থিত। বাসস্ট্যান্ড, বিমানবন্দর কিংবা হোটেল এলাকা—যেখান থেকেই আসুন না কেন, রিকশা, সিএনজি বা প্রাইভেট কারে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়। এছাড়া লাবণী পয়েন্টে

Read more