কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: বাংলাদেশের সামুদ্রিক গন্তব্যে একটি প্রবেশদ্বার

tek news icon bd

TEK NEWS DESK

July 9, 2020

কক্সবাজার, বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকতের শহর, এখন আরও সহজে পৌঁছনীয় হয়েছে: কারণ এটি একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পেয়েছে। TEK NEWS পাঠকদের জন্য এই ব্লগে তুলে ধরা হলো এই বিমানবন্দরটির ইতিহাস, অবকাঠামো, বর্তমান কার্যক্রম, ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য।

ইতিহাস ও উন্নয়ন

  • প্রথম সূচনা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা একটি বিমানঘাঁটি নির্মাণ করেছিল। পরে, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানকালীন সরকার এটি বাণিজ্যিক বিমানসেবা চালুর জন্য সংস্কার করে চালু করে।
  • মুক্তিযুদ্ধ ও পুনর্নির্মাণ: ১৯৭১ সালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিমান পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করে সার্বজনীন পরিষেবায় নিয়ে আসে।
  • আন্তর্জাতিক হাবের স্বপ্ন: ২০১২ সালের পর থেকে বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য নানা ফেজে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয় — রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ানো, আধুনিক দিকনির্দেশনা যন্ত্রপ্রণালী সংযোজন ইত্যাদি।

বর্তমান অবকাঠামো ও আর্থিক বিবরণ

  • আইডেন্টিফায়ার: IATA: CXB, ICAO: VGCB।
  • অবস্থান: শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত।
  • উচ্চতা: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৪ মিটার উচ্চতায় (১২ ফুট)।
  • রানওয়ে: ১৭/৩৫ নম্বর, দৈর্ঘ্য ৩,২০০ মিটার (১০,৭০০ ফুট), অ্যাসফাল্ট ভিত্তির।
  • পরিবহন: ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত যাত্রী সংখ্যা ছিল ৪৮,৭১৯।
  • ফ্লাইট সংখ্যা: গড়ে প্রতিদিন ২৫–৩০টি যাত্রীবাহী এবং ৬–১০টি কার্গো বিমানের চলাচল হয় দেশ রূপান্তর

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নয়নের সাম্প্রতিক প্রগতি

  • আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি: CAAB এই জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর আয়োজন করছে। যদিও নতুন টার্মিনাল পুরোপুরি প্রস্তুত নয়, বিদ্যমান টার্মিনাল ব্যবহার করে সীমিত পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
  • উন্নয়নের অগ্রগতি: রূপান্তর প্রকল্প বর্ধিত রানওয়েেধিকরণ ও টার্মিনাল উন্নয়নে লক্ষ্য করেছে, যা অন্তত ৮৫% সম্পন্ন হয়েছে Dhaka Tribune। সম্পূর্ণ দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য আন্তর্জাতিক অনুমোদন (ICAO নিয়ম অনুসারে) এখনো পেন্ডিং আছে।
  • এয়ারলাইন প্রস্তুক্তি: এমনকি বিদেশি এয়ারলাইন্স যেমন Air Arabia কথিতভাবে সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহ জানিয়েছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

  • ট্যুরিজম বৃদ্ধিতে অবদান: আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হওয়ার ফলে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ সহজ ও দ্রুত হবে, যা কক্সবাজারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র করে তুলতে পারে।
  • জরুরী প্রতিক্রিয়া মান: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয়ে দ্রুত বিমানঅপারেশনের সুযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি।
  • অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি: রানওয়ে সম্প্রসারণ, টার্মিনাল এবং এয়ার সার্ভিস হাবের উন্নয়নে পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় দিকনির্দেশনার সূচনা ঘটেছে।

Frequently Asked Questions (FAQ)

প্রশ্ন ১: কক্সবাজার বিমানবন্দর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রে থেকে মাত্র দুই কিমি উত্তরে, উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত।

প্রশ্ন ২: এর IATA ও ICAO কোড কী?
উত্তর: IATA কোড – CXB; ICAO কোড – VGCB।

প্রশ্ন ৩: রানওয়ের দৈর্ঘ্য কত এবং এটি কি আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্য?
উত্তর: রানওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩,২০০ মিটার (ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা চলছে)।

প্রশ্ন ৪: আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কখন থেকে চালু হবে?
উত্তর: পরিকল্পনা অনুযায়ী জুলাই ২০২৫ থেকে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালনোর প্রস্তুতি চলছে; তবে পুরোপুরি চালুর পূর্বে ICAO অনুমোদন প্রয়োজন।

প্রশ্ন ৫: ফ্লাইট চলাচল গতির পরিমাণ কী?
উত্তর: বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২৫–৩০টি যাত্রীবাহী ও ৬–১০টি কার্গো ফ্লাইট চলাচল করে দেশ রূপান্তর

উপসংহার

কক্সবাজার বিমানবন্দর শুধু একটি বিমানসংযোগ কেন্দ্র নয়—এটি বাংলাদেশের পর্যটন ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের এক নতুন ধাপ। শক্তপ্রতিষ্ঠা রানওয়ে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের পথে উত্তরণ, এবং পর্যটকদের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো ভিত্তিক সুবিধা—সবই মিলেই এটি হয়ে উঠছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এয়ার ট্র্যাভেল হাব। TEK NEWS-এর পাঠকদের জন্য এই বিশ্লেষণ আশা করি উপকারে আসবে। আপনি চাইলে এয়ারলাইন রুট, বিমান ভাড়া, অথবা বিমানসেবা সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারি।

Leave a Comment